চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর আনন্দপুর এলাকায় উন্মুক্ত নালায় পড়ে মরিয়ম নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শিশু মরিয়ম বাড়ির পাশের একটি দোকানে যাওয়ার পথে একটি উন্মুক্ত নালায় পড়ে যায়। নালাটির ওপরের স্ল্যাব খোলা থাকায় সেখানে পানি জমে ছিল এবং তা দেখে বোঝা যায়নি যে নিচে নালা রয়েছে। অসাবধানতাবশত পা ফসকে পড়ে গিয়ে শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিটে মরিয়মকে উদ্ধার করে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে ডুবুরি দল গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় এবং শিশুটিকে খুঁজে বের করে।
এর আগেও চট্টগ্রামে উন্মুক্ত নালা ও খালে পড়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল কাপাসগোলায় রিকশা থেকে পড়ে সেহরিস নামের ছয় মাস বয়সী শিশু খালে তলিয়ে যায়, পরদিন দূরবর্তী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ বৃষ্টিতে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন; তাঁর মরদেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া হাঁটার সময় উন্মুক্ত নালায় পড়ে মারা যান। ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ষোলশহরে নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু কামালের মরদেহ তিন দিন পর উদ্ধার হয়। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদে নালায় পড়ে যাওয়া ১৮ মাসের শিশু ইয়াছিন আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করতে সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা।
চট্টগ্রাম নগরীতে খোলা নালা ও খালের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।