গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় একজন দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। আজ শনিবার সকালে গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার কে. এম. এ. মামুন খান চিশতী।
র্যাবের এই কোম্পানি কমান্ডার বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত স্বাধীনকে মহানগরীর শিববাড়ী এলাকা গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে র্যাব সদস্যরা গতরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর স্বাধীন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা এবং এই ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
স্বাধীনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মামুন খান চিশতী বলেন, ‘সাংবাদিক তুহিন দায়িত্ব পালনের সময় একজন নারীর সঙ্গে বাদশা নামের এক ব্যক্তির কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাদশা ওই নারীকে থাপ্পড় মারলে স্বাধীনসহ অন্যান্য আসামিরা তাঁকে (বাদশা) ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তুহিন ভিডিও করলে আসামিরা তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’
এদিকে, তুহিন হত্যা মামলায় স্বাধীনসহ এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান।
এই মামলার গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপী, স্বাধীন, আলামিন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও সুমনকে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাংবাদিক তুহিনকে।