পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২৬ জুন থেকে পাকিস্তানে বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত ঘটনায় ৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সর্বশেষ মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
গিলগিট-বালতিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র ফাইজুল্লাহ ফারাক জানান, ঘাজার জেলায় বৃহস্পতিবার আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজিকুর জেলায় আকস্মিক বন্যায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। উদ্ধার কর্মকর্তা অমজাদ খান জানিয়েছেন, ১৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
উত্তর-পশ্চিমের বাত্তাগ্রাম জেলাতেও আকস্মিক বন্যায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সরকারের প্রশাসক সেলিম খান জানিয়েছেন, ১৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত ঘটনায় বৃহস্পতিবার আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রাদেশিক জরুরি সেবার মুখপাত্র বিলাল ফাইজি জানিয়েছেন, সিরান ভ্যালির মানসেরা জেলায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আটকা পড়া এক হাজার ৩০০ পর্যটককে উদ্ধার করতে উদ্ধারকারী দল ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছে।
স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জুলাই মাস থেকে গিলগিট-বালতিস্তানে বেশ কয়েকবার আকস্মিক বন্যা হয়েছে। যার ফলে করাকোরাম হাইওয়েতে ভূমিধস ঘটেছে। এই রুট পাকিস্তান ও চীন সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও পর্যটন পথ।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বন্যা-প্রভাবিত এলাকায় দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।