ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলাস্কায় আজ বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২২ সালে শুরু হওয়া রুশ অভিযানে ইতিমধ্যে দখল হয়েছে ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড। বৈঠক হবে মূলত যুদ্ধবিরতি ও ভূখণ্ড অদলবদল নিয়েই।
তবে দখলকৃত অঞ্চল ছাড়বেন না পুতিন, আর ট্রাম্পের প্রস্তাবে আপত্তি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এদিকে, লুহানস্ক-দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া রাশিয়া। বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, রণক্ষেত্রে মস্কোই আপার-হ্যান্ড।
ইউক্রেনে রুশ বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হয় ২০২২ সালে। রুশ বাহিনী পৌঁছে যায় কিয়েভ উপকণ্ঠে। জাপরিজিয়া ও খেরসন নিয়ন্ত্রণে নেয় রাশিয়া। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলেও এগিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
অভিযান শুরু করে এ পর্যন্ত দেশটির ২০ শতাংশ ভূখণ্ডের দখল নিয়েছে মস্কো। তাই নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চায় ইউক্রেন ও ইউরোপ। তা অর্জনে কাজ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এ লক্ষ্যেই আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক। যুদ্ধবিরতি ছাড়াও আলোচনা হবে ভূখণ্ড অদলবদল প্রসঙ্গেও। তবে দখলকৃত অঞ্চল ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব নাকচ করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া রাশিয়া। নিয়ন্ত্রণ চায় ইউক্রেনের দখলে থাকা বাকি অংশেরও। কিয়েভ অঞ্চল দুটোর নিয়ন্ত্রণ ছাড়লে, বৃথা যাবে ফ্রন্টলাইনে নিহত হাজারো ইউক্রেনীয় সেনার আত্মদান। ফলাফল দাঁড়াবে, পরাশক্তি রাশিয়ার বিজয় আর সব হারানো ইউক্রেনের তিক্ত পরাজয়।
জেলেনস্কির দাবি, কিয়েভ অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ না পেলে, সেখান থেকে ইউক্রেনের অন্যান্য অংশে রাশিয়ার হামলা ঠেকানো কঠিন হবে। পূর্ব ইউক্রেনের দনবাসের অংশ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক। ২০২২ সালে এই অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন ঘোষণা করে সেখানে সেনা পাঠায় রাশিয়া।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বর্তমানে লুহানস্কের সম্পূর্ণ ও দোনেৎস্কের ৭০ ভাগ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। রণক্ষেত্রে রাশিয়া আপার-হ্যান্ড ট্রাম্পকে এই বার্তা দিতেই মস্কোর এ পদক্ষেপ।
তবে যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই যে কেবল, সীমান্তের রূপরেখা ও ভূখণ্ড ছাড় দেওয়া নিয়ে আলোচনা হবে তা স্পষ্ট।