বদলা নেওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ

আজকের মতামত ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি: বাসস
সংগৃহীত ছবি: বাসস

আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। সিরিজে ২-০ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই—টানা হারে বিধ্বস্ত পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করা। আর পাকিস্তান চাইবে, অন্তত একটা সান্ত্বনার জয় নিয়ে তাদের সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করতে।

এমনিতে বাংলাদেশের কাছে বাজেভাবে হারের পর পাকিস্তান দলকে ধুয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারেরা। সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেছেন, ‘এই খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট দক্ষ নয়। এই ধরনের পিচে তাদের খেলার ধরন একেবারেই কাজে আসে না।’ আজ হারলে তাঁদের সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়বে বৈ কমবে না!

পাকিস্তানি সাবেক খেলোয়াড়েরা মিরপুরের উইকেটের প্রসঙ্গ আনলেও তাঁরা বেশি দুষছেন তাঁদের ব্যাটারদেরই। আর পাকিস্তান দলের অনেক খেলোয়াড় বিপিএল খেলার সুবাদে মিরপুরের উইকেট তাঁদের কাছে অজানাও নয়।

পরশু রাতে ম্যাচ শেষে বিসিবি সভাপতি বুলবুল বলছিলেন, ‘উইকেট দুই দলের (বাংলাদেশ-পাকিস্তান) জন্যই সমান আসলে। আমি কৃতিত্ব দেব আমাদের দলকে। উইকেট এখানে বড় একটা ফ্যাক্টর না। আমার কাছে মনে হয়েছে, ক্রিকেটারেরা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, সেটা অবিশ্বাস্য।’

মিরপুরের উইকেট ব্যাটারদের ‘বধ্যভূমি’ , এ এখন আর অজানা নয়। এটি যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ নয়, এসব কথা বিসিবিও এখন কানে তোলে না। এরকম ‘মাইনফিল্ডে সাফল্য এলেই হলো। মানুষ মনে রাখে জয়, সে যে পিচেই খেলা হোক!

এ সূত্র ধরেই শ্রীলঙ্কা থেকে বয়ে আনা আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ ধরে রেখেছে দেশের মাঠেও। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে টানা চারটি টি-টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ। টানা দুটি সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়েছে। দুই সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াড অপরিবর্তিত রাখা হলেও একাদশে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুই-একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটি বেশির ভাগ সময়েই বিশ্রামনীতি অনুসরণ করে।

পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা ম্যাচেও বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা বেশি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশের অভিজ্ঞতা থাকলেও বাংলাদেশ ২০ ওভারের ক্রিকেটে কখনো পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করতে পারেনি। পাকিস্তানিদের বিপক্ষে একাধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ জিতলই তো সবে। বড় দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করেছে শুধু ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

এবার তালিকায় পাকিস্তানের নামটাও যোগ করার সুযোগ। আর সেটা করতে পারলে দুই মাসে পুরোনো ক্ষতেও যেন কিছুটা প্রলেপ পড়বে বাংলাদেশের। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ কম তো আর নাস্তানাবুদ হয়নি। এবার তা কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়ার পালা!

এলাকার খবর

সম্পর্কিত