যশোরের কেশবপুর থানায় ঢুকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। বুধবার (৬ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত অজিয়ার রহমান জামায়াতে ইসলামীর কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি। তিনি ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি। এ ঘটনায় অজিয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস।
গত ৪ আগস্ট চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করায় কেশবপুর থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের হুমকি ও হট্টগোল করেন জামায়াতের কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অজিয়ার রহমান। ঘটনার পরে থানায় অনাধিকার প্রবেশ, সরকারি কাজে বাধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকলেসুর রহমান বাদী হয়ে রোববার তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইমুন হাসান অভিযান চালিয়ে অজিয়ারকে গ্রেপ্তার করেন বলেও জানান তিনি।
এসআই মোকলেছুর রহমান বলেন, সম্প্রতি অজিয়ার রহমানের চাচাতো ভাই উপজেলার লক্ষীনাথকাঠি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একজন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় শহিদুলকে আসামি করায় রোববার থানায় ঢুকে পুলিশকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন অজিয়ার।
ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হুমকির ঘটনায় অজিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে থানায় প্রবেশ করে হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, অজিয়ার রহমান এক পুলিশ কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে ধমকাচ্ছেন। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে ওই চেয়ারে বসে আপনি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমি কেন রাজনীতি করব?
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা সমালোচনা শুরু করেন। জামায়াত নেতা ও একজন আইনজীবীর এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত আইনজীবী ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।