আহতদের সহায়তায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ছুটে গেলেন ইডিসিএল এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
 ছবি:
ছবি:

হাসপাতালের পরিবেশ ছিল থমথমে। করিডোরজুড়ে ছুটোছুটি, কান্না আর উৎকণ্ঠা। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি ইউনিটে ঢুকতেই বোঝা যাচ্ছিল, এই বিকেলটা আর পাঁচটা দিনের মতো নয়। বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ থামছে না—প্রতিটিতেই যেন একজন নতুন গল্প নিয়ে আসছে, ক্ষতবিক্ষত শরীর আর শোকার্ত চোখে।

এই চাপের মধ্যেই, হাতে খাওয়ার স্যালাইন, নিয়োমাইসিন আর আরও কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধের প্যাকেট নিয়ে ঢুকে পড়লেন একজন সরকারি কর্মকর্তা—যার পদমর্যাদা এমডি, অথচ পরিচয়টা তখন হয়ে উঠেছে শুধু একজন মানুষ, যিনি এসেছেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে।

তিনি মো. আব্দুল সামাদ মৃধা—রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আজ সোমবার সন্ধ্যায়, উত্তরা দিয়াবাড়ির ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার আহতদের দেখতে তিনি ছুটে যান জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

তার হাতে ওষুধ, কিন্তু তার চোখে ছিল ব্যথা আর দায়িত্বের ছাপ। বলছিলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ডা. সায়েদুর রহমান স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আজকের এই ভয়াবহ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

কেবল এ একদিন নয়, বরং দুর্যোগ আর সংকটময় প্রতিটি সময়েই যে প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পাশে থেকেছে, সেটি হলো এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড।  

উল্লেখ্য, আজ দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ (এফ-৭ বিজেআই) উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয় দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে। ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত ১৬৪ জনের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে, যার মধ্যে গুরুতর দগ্ধদের রাখা হয়েছে বার্ন ইনস্টিটিউটে।

বিষয়:

দুর্ঘটনা
এলাকার খবর

সম্পর্কিত