সাবেক দল পিএসজির কাছে ৪–০ গোলে বিধ্বস্ত মেসিরা

আজকের মতামত ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি: ফেসবুক
সংগৃহীত ছবি: ফেসবুক

পারি সাঁ জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ম্যাচটির আগে আলোচনা কম হয়নি। সে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন লিওনেল মেসি। যে ক্লাব ছেড়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অধ্যায় শেষ করে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন, সে ক্লাবের বিপক্ষে মেসি কী করতে পারেন, সেটাই ছিল দেখার।

কিন্তু মাঠের ফুটবলে পিএসজির বিপক্ষে তেমন কিছুই করতে পারেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। শুধু মেসি নন, ফরাসি ক্লাবটির বিপক্ষে তেমন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি মায়ামি। এতে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। একপেশে ম্যাচে ফ্লোরিডার ক্লাবটিকে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। আর মেসি বুঝলেন, ইউরোপ-আমেরিকার ব্যবধান ঘোচানো তাঁর পক্ষেও সম্ভব নয়!

আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে মায়ামিকে নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা করেছে পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেওয়া পিএসজি প্রথম গোলের দেখা পায় ৬ষ্ঠ মিনিটে। ভিতিনিয়ার ফ্রি-কিকে দূরের পোস্ট থেকে দারুণ এক কোনাকুনি হেডে মায়ামির জালে বল জড়ান জোয়াও নেভেস। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পর্তুগিজ তরুণ মিডফিল্ডার।

৫ মিনিট পর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান আরও বাড়ে। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্কোরলাইন ৪-০ করেন আশরাফ হাকিমি।

প্রথমার্ধে মায়ামির সঙ্গে শক্তির পার্থক্যটা স্পষ্ট করেছে ইউরোপ সেরা দলটি। এ সময় মায়ামি বলার মতো কোনো আক্রমণই করতে পারেনি। পিএসজির ১০ শটের বিপরীতে কোনো শটও নিতে পারেনি। আক্রমণ করা তো দূরের কথা, পিএসজির আক্রমণের ঢেউ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। ভাগ্য সহায় ছিল বলে ব্যবধানটা আরও বড় হয়নি!

সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে মায়ামি। মেসিও কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুটি প্রচেষ্টা আটকে গেছে পিএসজির রক্ষণে। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে হতাশ করেছেন জিয়ানলুইসি দোন্নারুম্মাও। এছাড়া মেসির বাড়ানো বল অনেকটা ফাঁকায় পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সুয়ারেস।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের একটু আগে বক্সের বাইরে সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল মায়ামি। কিন্তু মেসির শট পিএসজির মানবদেয়ালে বাধাগ্রস্ত হয়। এতে নিশ্চিত হয়, সান্ত্বনার গোল ছাড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে যাত্রা শেষ হচ্ছে মায়ামির। 

পিএসজির বিপক্ষে এমন হারেও হতাশ নন ইয়র্দি আলবা। ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামি তারকা বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, ওরাই (পিএসজি) এই সময়কার সেরা ফুটবলার। আমি জানি লুইস এনরিকে কোচ হিসেবে কেমন। দিন শেষে এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য ও কঠিন বাস্তবতা।’

বিষয়:

খেলা ফুটবল
এলাকার খবর

সম্পর্কিত