ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ বলা হচ্ছিল ম্যাচটিকে। ম্যাচের আগে আবহাওয়াও অপেক্ষায় রাখিয়ে আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর আসল ঝড় বয়ে গেল রেয়াল মাদ্রিদের ওপর। পিএসজির আক্রমণের তোড়ে উড়ে গেছে মাদ্রিদ রক্ষণ।
২৪ মিনিটের মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত গতকালের সেমিফাইনাল জিতেছে ৪-০ ব্যবধানে। আগামী রোববার চেলসির মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পারিসিয়ানরা।
ম্যাচের আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল মাদ্রিদ। লাল কার্ডের জন্য রক্ষণের নতুন ভরসা ডিন হাউসেন নামতে পারেননি।। ম্যাচ শুরুর ঠিক একটু আগে চোট পেয়ে ছিটকে যান বল ডিস্ট্রিবিউশনের আরেক ভরসা ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আরনল্ড। এ দুজনকে ছাড়া গতিময় পিএসজি আক্রমণের পালটা দিতে মাদ্রিদের বেগ পেতে হবে, সেটা জানাই ছিল।
তবে ৯ মিনিটের মধ্যে যে দুই গোল খেয়েছে মাদ্রিদ, তাতে পিএসজির আক্রমণভাগ নয়, মাদ্রিদ রক্ষণের দুজনের ভয়ংকর দুই ভুলের দায়। ৬ মিনিটে রাউল আসেনসিওর ভুলে বল পেয়ে যান উসমান দেমবেলে। তাঁর শট থিবো কর্তোয়া ঠেকিয়ে দিলেও ফাবিয়ান রুইসকে ঠেকাতে পারেননি।
৯ মিনিটে রক্ষণের অন্যজন করে বসেন ভুল। রুডিগারের ভুল পাস এসে পড়ে দেমবেলের কাছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে মাদ্রিদ।
২৪ মিনিটের গোলটি এ মৌসুমের পিএসজির খেলার প্রকৃত রূপ। ডান প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্তভাবে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন মাদ্রিদ একাডেমিরই সাবেক ছাত্র আশরাফ হাকিমি। তাঁর কাছ থেকে বল পেয়ে আসেনসিওকে বোকা বানিয়ে গোল করেন রুইস।
৮৭ মিনিটে মাদ্রিদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন বদলি নামা গন্সালো রামোস। অন্যদিকে নতুন কোচ শাভি আলোনসোর অধীনে এই প্রথম একসঙ্গে নামা কিলিয়ান এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জুটি কিছুই করতে পারেননি।
এই ম্যাচ দিয়েই মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ হয়েছে লুকা মদরিচ ও লুকাস ভাসকেসের। ম্যাচের ফলে কোনো বদল আসবে না বুঝতে পেরে দুজনকেই মাঠে নামার সুযোগ করে দিয়েছেন আলোনসো।