নরসিংদীর রায়পুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গৃহবধূ শান্তা ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শ্রীনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে শ্রীনগর এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী নিহত হন। ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং থানা পুলিশ যৌথভাবে শ্রীনগর ও সায়দাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে পাঁচটি পিস্তল, ৩৫ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন, দুটি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল এবং কিছু পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জেরে সোহেলের চাচাতো ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শান্তা ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শান্তার পরিবারের পক্ষ থেকে সোহেলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর থেকেই সোহেল গা-ঢাকা দেন এবং এলাকায় একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তোলেন। তিনি চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও এতদিন তাকে ধরতে পারেনি।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই যৌথ বাহিনীর এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সোহেলকে আটক করা সম্ভব হয়েছে, যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছিল।”
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, সোহেলের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা, দুটি অস্ত্র মামলা ও আরও অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। যৌথ বাহিনীর এই সফল অভিযানে তাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।