জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতাদের মধ্যে গড়ে ওঠা মতবিরোধের কারণে দলটি ষষ্ঠবারের মতো ভাঙনের মুখে পড়েছে। চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরোধীরা শনিবার দলের নামে কাউন্সিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে জি এম কাদের নিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এই কাউন্সিলকে অবৈধ ও অবৈধ দাবি করেছেন।
জাপা ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা কারণে চারবার বিভক্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালে জি এম কাদের দলের নেতৃত্ব নেওয়ার পর আবারও দল ভাঙার পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারির নির্বাচনের পর রওশন এরশাদের অনুসারীরা একই নামে আলাদা দল ঘোষণা করেন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর জি এম কাদের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করলেও ছাত্র নেতৃত্বের বিরোধিতার মুখে দলীয় বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকেই দলের অন্দরেই গোষ্ঠী সংঘাত তীব্র হয়।
জাপার গঠনতন্ত্রের সংশোধনের দাবি নিয়ে দলের কয়েক নেতার বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত মে মাসে প্রেসিডিয়াম সভায় ২৮ জুন কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, প্রধান উপদেষ্টা কর্মসূচির কারণে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ভাড়া পাওয়া না যাওয়াকে অজুহাত করে জি এম কাদের কাউন্সিল স্থগিত করেন।
কাউন্সিল স্থগিতের পর জি এম কাদের বেশ কয়েক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১০ নেতার মামলা ও আদালতে যাত্রা শুরু হয়। আদালত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দেন।
বহিষ্কৃত নেতারা নিজেদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবি করে কাউন্সিল ডেকে দল পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলেন, এটি কোনো ভাঙন নয়, বরং দীর্ঘদিনের বিভেদ মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে, জি এম কাদেরের পক্ষে থাকা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী এই কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং বহিষ্কৃত নেতারা কাউন্সিল ডাকার ক্ষমতা রাখেন না বলে উল্লেখ করেছেন।
আসন্ন নির্বাচনে জাপার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে শামীম হায়দার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ স্বচ্ছ ও নিরাপদ হলে জাপা অংশগ্রহণ করবে।