আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের জন্য কী করা যাবে আর কী করা যাবে না—সে বিষয়ে একটি স্পষ্ট নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৩ জুলাই) এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটকক্ষের গোপন স্থানে ছবি তোলা এবং সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ। এ ছাড়া নির্ধারিত নিয়মের বাইরে গিয়ে সাংবাদিকরা ভোটগ্রহণে নিয়োজিতদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের মধ্যে থাকবে—
প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক
আইপিটিভি ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধি
বিদেশি সাংবাদিক- তাদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার প্রদান করা হবে।
এ নীতিমালা শুধু জাতীয় নির্বাচনেই নয়, স্থানীয় সরকার (জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন) নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সাংবাদিকরা যা করতে পারবেন:
কার্ডধারী সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে জানিয়ে তথ্য, ছবি বা ভিডিও সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন এবং ছবি তুলতে পারবেন।
সাংবাদিকরা যা করতে পারবেন না:
গোপন কক্ষে প্রবেশ বা সেখানে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
একসঙ্গে দুইজনের বেশি সাংবাদিক ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন।
ভোটকক্ষে থাকা কর্মকর্তা, এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ করা যাবে না—যেকোনো সম্প্রচার করতে হলে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।
এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
অতিরিক্ত নির্দেশনা:
সাংবাদিকদের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে কোনো রকম হস্তক্ষেপ বা নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ করা যাবে না।
সংবাদ সংগ্রহের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পরিহার করতে হবে।
নির্বাচনী আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।