আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে নির্বাচন অন্তর্ভূক্তিমূলক হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে, স্বাভাবিক। আমাদের চিন্তা হলো- যারা ভোটারস আছে, পার্টিসিপেন্টস অব ভোটার, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই। এখন ইনক্লুসিভের ডেফিনিশন তো একেকজনের কাছে একেক রকম।’
আওয়ামী লীগের সমর্থকগোষ্ঠী ভোট দেবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি তো আশা করি তারা আসবে। এদের সমর্থকগোষ্ঠী আছে তো। তারা যে একেবারেই আসবে না এটা আমরা মনে করি না। লার্জ নম্বর অফ দেম পার্টিসিপেট ইন দ্য ইলেকশন, নট অ্যাজ অ্যা ক্যান্ডিডেট, বাট অ্যাজ এ ভোটার।’
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন সিইসি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে না। সিইসি বলেন, ‘এজন্য আমরাও আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করে দিয়েছি।’
সিইসি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে এক এক রকম। নির্বাচন কমিশন চায়, সকল ভোটার নির্বাচনে অংশ নেবে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা এই প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘উনাদের (আওয়ামী লীগ) সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত। যদি বিচার শেষ হয়, যদি শাস্তি না দেওয়া হয়, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া না হয়; সরকারের যে সিদ্ধান্ত সে অনুযায়ী তাদের রেজিস্ট্রেশন রাখাই তো মিনিংলেস হয়ে যায়। তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে না। এ জন্য আমরাও রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করে দিয়েছি।’