বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা পোর্টাল হেলথ পলিসি ওয়াচ।
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক অভ্যন্তরীণ ইমেইলে এই সিদ্ধান্তের কথা সংস্থার কর্মীদের জানিয়েছেন। ইমেইলে জানানো হয়, সায়মা ওয়াজেদের ছুটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে এবং তার অনুপস্থিতিতে সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বেমে ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আগামী মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এসইএআরও অফিসে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসইএআরও আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে তার নিয়োগ ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনের সময় তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বা ভুয়া তথ্য দিয়েছেন এবং তা প্রভাবিত করতে তৎকালীন সরকার অনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছে।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে এবং গত মার্চে দুটি মামলা দায়ের করে। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, মনোনয়নপত্রে পেশাগত অভিজ্ঞতার অংশে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সম্মানসূচক পদের উল্লেখ করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
এ ছাড়া, দুদকের দাবি অনুযায়ী, সায়মা ওয়াজেদ তার পরিচালিত সুচনা ফাউন্ডেশনের নামে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২৮ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছেন, যার ব্যয়ব্যাপারে কোনো স্বচ্ছতা নেই।
এসব অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের কোনো দেশে সফরে যাননি। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে ফিরলে তার গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।