ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)-এর সর্বোচ্চ পরিষদের কাছে সামরিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। ইরান ইন্টারন্যাশনাল একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তেহরানের লাভিজান এলাকার একটি গোপন বাঙ্কারে খামেনিকে তার পরিবারসহ নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন প্রভাবশালী ছেলে মোজতবা খামেনি।
ট্রাম্পের হুমকি ও ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে বলেন, "আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ টার্গেট, তবে আপাতত হত্যা করা হবে না। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।"
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির পক্ষ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর একটি 'প্রি-এম্পটিভ পদক্ষেপ', যাতে নেতৃত্বে কোনো শূন্যতা তৈরি না হয়।
উভয় দেশের হামলা-পাল্টা হামলা
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অষ্টম দিনে উভয় দেশই একাধিক সামরিক হামলায় জড়িয়েছে। ইসরায়েলের আঘাতে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ না করে, তাহলে ইরান আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।” তিনি আরও বলেন, শান্তির পথ কেবল তখনই সম্ভব, যখন জায়নবাদী আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে।