আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাত অবসানে হোয়াইট হাউসে একটি শান্তি চুক্তি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের আয়োজন করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান করমর্দন করেন। এই মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
‘এটি দীর্ঘ সময় নিয়েছে’, ট্রাম্প এই চুক্তি সম্পর্কে বলেছিলেন।
এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন রুট উন্মুক্ত করবে এবং ওই অঞ্চলে আমেরিকান প্রভাব বাড়িয়ে তুলবে।
চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সব ধরনের যুদ্ধ চিরতরে বন্ধ করার পাশাপাশি ভ্রমণ, বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আজ আমরা ককেশাসে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছি। আমরা বহু বছরের যুদ্ধ, দখলদারিত্ব ও রক্তপাত বন্ধ করেছি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, তারা ৩৫ বছর ধরে লড়াই করছে, এখন তারা বন্ধু এবং দীর্ঘদিন তারা বন্ধু থাকবে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান এই চুক্তি স্বাক্ষরকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
ইতিমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি।
সাবেক সোভিয়েত এ দুই রাষ্ট্র বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে ফের প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।